আবুল ফজল মেম্বার :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রুপান্তরিত করার জন্য আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অনেকাংশে আপনি সফলও হয়েছেন,আপনার প্রসংশায় পঞ্চমুখ বিশ্ববাসী।আপনার এ সফলতার অংশীদার বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগন যারা আপনাকে সাহস জুগিয়েছে।
আপনার প্রসংশয়ী কর্মকান্ডের মধ্যে অপরিহার্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে মানবতার খাতিরে নির্যাতিত বৃহৎ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া।যেটি মানবতার সর্ববৃহৎ দৃষ্টান্ত বলে বিবেচিত হয়েছে যার ফলস্বরূপ আপনি "মাদার অব হিউমিনিটি" উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
আমরা জানিনা আশ্রিত রোহিঙ্গারা উশৃংখল নাকি এদের কাজে নিয়োজিত INGO এবং NGO'র উসকানিতে দিনদিন উশৃংখল হচ্ছে।ইতিমধ্যে মানুষ খুন ডাকাতি দখলদারি ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যদি কোন কারনে রোহিঙ্গারা এমন উশৃংখলতায় দিনাতিপাত করে তাহলে স্থানীয়দের শরনার্থী হতে বেশিদিন লাগবে না কারণ সংখ্যায় রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের চেয়ে ৩ তিন গুন।
আজকের উখিয়া টেকনাফের শ্রম বাজার রোহিঙ্গাদের দখলে ইতিমধ্যে ব্যবসা বানিজ্যেও এরা হাত দিয়েছে।তদন্তে বেরিয়ে আসবে রোহিঙ্গারা বর্তমানে কয়েক শ স্বর্নের দোকানের মালিকও বনে গেছে।রোহিঙ্গারা স্থায়ী ভাবে বসবাসের চিন্তাধারায় সদায় ব্যস্ত,ক্যাম্পে কর্মরত অনেক মহিলারা প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় মেরে রক্তাক্তও করেছে অহরহ।রোহিঙ্গারা চেকপোস্ট ক্রসকরতে আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়েনা কিন্তু স্থানীয়দের আইডি কার্ড জন্ম নিবন্ধন গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
প্রিয় মানবতার মা
মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের কষ্টের কথা আপনাকে জানানোর ব্রিফিং করেছে যেটা আলগা পিরিতির মতো,কারণ মন্ত্রীসাহেব তো উখিয়া টেকনাফে স্থায়ীভাবে থাকেন না,স্থানীয়দের দূর্ভোগের কথা মন্ত্রী সাহেবের জানার কথাও নয়।
রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়া মানে মানবতা।
রোহিঙ্গাদের জন্য আলগা পিরিতি মানে স্থানীয় জনগনের জন্য চরম ভোগান্তি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধতন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত আরজ আপনারা কিছুদিনের জন্য উখিয়া টেকনাফে অবস্থান করলে বুঝতে পারবেন উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের চাইতেও কষ্টে আছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির কারণে জেলায় শিক্ষার হারে ধস নেমেছে যেটা বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে বুঝতে সহজ হবে।রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের কোন সমস্যা হলে স্থানীয়রা যায় জেলহাজতে আর রোহিঙ্গারা যায় বহাল তবিয়তে উন্মুক্ত ক্যাম্পে যেখান থেকে দেদারসে অন্যান্য কর্মকান্ড করতে পারে।
প্রিয় নেত্রী
নিশ্চয় স্থানীয়দের জনদূর্ভোগে রেখে বিশ্বমোড়লদের লোকদেখানো প্রশংসা আপনার কাম্য নয়।তাই স্থানীয়রা রোহিঙ্গা হওয়ার আগে লাগান টেনে ধরুন।
শেয়ার করুন
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।