২৬শে জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বরিশাল লঞ্চ ঘাটসহ গমনাগমনের সকল পথগুলোতে নজরদারি চলছিল, যাতে বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার কোন আসামি পালিয়ে যেতে না পারে। এরই মধ্যে মানামী লঞ্চযোগে চার যুবকের ঢাকা গমন সন্দেহজনক মনে হলে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশিত হবার পর বিষয়টি নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ২৭ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাত শরীফের বাবা মো. আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
তারই প্রেক্ষিতে আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রিফাত (রিফাত শরীফ) সৌভাগ্যবান, তার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে। গত এক মাসে ২২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের খুনিদের ধরতে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখি না।
রোববার (৭ জুলাই) জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা নির্বাচনী এলাকা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, জনগণের অ-মণ্ডল ক্ষমতার ফলে সরকার সম্পূর্ণভাবে পুলিশকে দলবদ্ধ করেছে। তাদের সকলেরই বিচার, নির্যাতন, নির্যাতন ও কারাদন্ড ছাড়া বিরোধী কর্মীদের পাঠানো হয়।
রুমিন বলেন, যদি আপনি দেশে যে কোন স্থানে হত্যাকাণ্ড শুনতে চান তবে আপনি প্রধানমন্ত্রীকে ন্যায়বিচার পেতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যনির্বাহী বিভাগের প্রধান ড। আইন, আদালত, বিচারালয়, এবং বিচার আছে। আর কেন আপনি বিচার চাইবেন? পুলিশ, প্রশাসন, আদালত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে, তাহলে বিচার চাইতে কোন প্রশ্ন নেই।
তিনি বলেন, বরগুনার রাইফাত হত্যাকাণ্ডের পর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশকে অপরাধীদের ধরতে হবে এবং এটি তাদের রুটিন কাজ। এই কারণে তারা মানুষের অর্থ বেতন পায়। রিফাত ভাগ্যক্রমে তার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছিলেন। গত এক মাসে হ্যাকিংয়ের শিকার ২২ জনকে হত্যার শিকার হয়েছে। পুলিশ তাদের হত্যাকারীদের ধরতে প্রশাসন কোন কার্যকলাপ দেখতে না।
বিএনপির সাংসদ মো। সাগর-রুনির হত্যার সাত বছর দূরে ছিলেন বলে জানান মো। প্রতিবেদনে ৬৫বার এই প্রতিবেদনটি হ্রাস পেয়েছে। সম্ভবত এই ব্যক্তিরা তাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত যারা তাদের পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে না। বিশ্বজিত হত্যা একটি ঘটনা ছিল। এদিকে, ছাত্রলীগের কর্মী নেতারা মৃত্যুদন্ডে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই খবর এসেছে যে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপাচার্য রাইফাতকে রক্ষা করার পক্ষে অত্যন্ত সক্রিয় (রাইফাত হত্যায়ের অন্য অভিযুক্ত)। বিনা বিচারে জনগণের ক্ষমতার ফলে পুলিশ সম্পূর্ণরূপে গোষ্ঠীভুক্ত হয়েছে।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।