ছয় থেকে সাত বছর বয়সী শিশুর কাটা মাথা ব্যাগে নিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় নেত্রকোণা শহরের নিউ টাউন এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে শহরের নিউটাউন পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরআগে শিশুর কাটা মাথাসহ অজ্ঞাত ওই যুবক হরিজন পল্লীতে এলাকায় ঘোরাফেরা করে । পরে বিষয়টি প্রথম হরিজনদের দৃষ্টিগোচর হয়।
পরে তাকে ধাওয়া করে নিউটাউন পুকুর পাড়ে ধরে ফেললে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম, নাজমুল হাসান (তদন্ত), উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওয়াল সরদার, শাখাওয়াত হোসেন,
আলমগীর হোসাইনসহ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়াও কেউ তাদের চিনতে পারলে পুলিশকে দ্রুত অবগত করতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি ।
সর্বশেষ পাওয়া খবর:
ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়ানো গুজবের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটল। শিশুটির মাথা পাওয়া গেলেও তার দেহটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটা নেত্রকোনা শহরের নিউ টাউন এলাকার। এখানেই ব্যাগের ভেতর শিশুর কাটা মাথা পাওয়ায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তার নাম সজীব। বয়স আট। সে নেত্রকোণারই সদর উপজেলার আমতলা গ্রামের রিকশা শ্রমিক রইছ উদ্দিনের ছেলে। রইছ উদ্দিন বর্তমানে শহরের কাটলি এলাকায় হিরণ মিয়ার বাসায় ভাড়াটে হিসেবে থাকছেন।
অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের নাম রবিন। ২২ বছর বয়সী এই যুবক নেত্রকোণা পৌর এলাকার কাটলী এলাকার বাসিন্দা। তিনিও পেশায় রিকশা চালান। কী উদ্দেশ্য শিশুটিকে খুন করেছেন, সেটিও তদন্তে বের হবে বলে বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা তাজুল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেলা একটার দিকে শহরের কাটলি এলাকা থেকে ওই যুবক শিশুর ছিন্ন মস্তক নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে পিছু ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে শহরের নিউটাউন এলাকার অনন্ত পুকুর পাড়ে ধরা পড়েন তিনি। সেখানেই চলে গণপিটুনি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর ছিন্ন মস্তক ও যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কি কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া শিশুটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।