বাংলাদেশ সম্পর্কে ট্রাম্পকে ভয়ংকর মিথ্যা তথ্য দিল বাংলাদেশি নারী
রক্তরাঙা সূর্যের আলোয় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জেলে তাঁতি, কৃষক-শ্রমিক, উচুঁ-নিচুতলার সর্বশ্রেণীর মানুষদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার আদৌ কাম্য নয়। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে সেই সুচনালগ্ন থেকেই। অতীতে বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়েছে , পরবর্তীতে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এমন কোন উল্লেখযোগ্য লোমহর্ষক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নালিশ করার মত।
অথচ প্রিয়া সাহা দেশকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করলেন, তা স্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতা। প্রশ্ন জাগে তিনি কার এজেন্ট??
কিংবা কোন শ্রেণীকে সুবিধা দিতে নিজ দেশের নামে এই জঘন্য মিথ্যাচার করলেন?
এটা তার ব্যক্তিগত মিথ্যাচার নাকি সাংগঠনিক মিথ্যাচার তা স্পষ্ট করা উচিত।
মোট জনসংখ্যার ৬ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান গুম হয়ে গেল মিডিয়া আর জনগণকে ফাকি দিয়ে??
তার কথায় ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্পষ্ট। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাপারে এমন মিথ্যাচার করার কারণ হচ্ছে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের ধান্দাবাজি। অথবা মিয়ানমারকে সহযোগিতা করা। বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এবং তাদেরকে মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সহযোগিতা চাইছে বাংলাদেশ। ঠিক সেই সময়ে এই জঘন্য মিথ্যাচার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনে জ্বালা ধরিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টির পরিকল্পনা হতে পারে এটি।
প্রিয়া সাহার মতো মুখোশধারী মানুষদের জন্যই আজও ধর্ম-বর্ণভেদে এত পার্থক্য সারাবিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবৈষম্যও খুব বেশি পুরনো নয়। সারাবিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ, অশান্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী হাতেগোনা কিছু বিশ্বমোড়ল। এবং পৃথিবীর প্রায় রাষ্ট্রগুলোতেই রয়েছে তাদের নিয়োজিত এজেন্ট।
প্রিয়া সাহার লোমহর্ষক মিথ্যা বক্তব্যে আপাতদৃষ্টিতে এটি স্পষ্ট যে, তিনিও এ পথেই হাটছেন।
মিয়ানমারে বৌদ্ধদের দারা নির্যাতিত হয়ে স্মরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়টি গুরুত্বহীন করতেই হয়তো তার এই পরিকল্পনা।
তাই এই মহুর্তে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারটি আরও গুরুত্বের সাথে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বাংলাদেশের।
এবং এটি তার ব্যক্তিগত মিথ্যাচার নাকি সাংগঠনিক মিথ্যাচার সেটি নিশ্চিত হয়ে স্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
ওই নারীর বক্তব্যের পর দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। রীতিমতো নেটিজেনরা ওই নারীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তারা ট্রাম্পকে হ্যাশ ট্যাগ, মেনশন করে জানাচ্ছেন ওই মহিলা মিথ্যে কথা বলেছেন। তবে কেন ওই নারী এমন কথা বললেন তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণমাধ্যম পুরো অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ করেছে। যার কারণে ভিডিও টি সকলের সামনে চলে আসে।
পুরো অনুষ্ঠান এখানে
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।