সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সড়কের বরগাং এলাকা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ছোটন দেওয়ানজির ছেলে প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল (১৮) এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের কন্যা তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)।
স্থানীয়রা হ্রদে দুই লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে প্রথমে মেয়েটির এবং পরে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, হিমেল ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আর তিন্নি রাঙ্গামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটি রাঙ্গামাটিতে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করছিল।
সুত্র জানায়, রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা ওষুধ ব্যবসায়ী ছোটন দেওয়ানজির ছেলে প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল (১৮)। একই জেলা শহরের এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশুনা করছিলো চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের কন্যা তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)। লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী হিসেবে পড়াশুনা করছেন রাঙ্গামাটি থেকেই।
কলেজে আসা যাওয়ার পথে মাঝে মধ্যে দেখা আর দেখা থেকেই একে অপরের পছন্দ। এভাবে কিছুদিন যেতেই ভিন্ন ধর্মের এ মানুষকে জীবনসঙ্গি হিসেবেই পছন্দ করে বসে ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হিমেল। তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)ও তার সাথে গভীর প্রেমে আচছন্ন হয়ে পড়ে।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে হিমেল তার ফেসবুকের ওয়ালে স্ট্যাটাস লিখেছিলেন ‘আলবিদা’।
এরপর থেকে নিখোঁজ হয় হিমেল। তার পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে ঠিক একই সময়ে নিখোঁজ হয় তিন্নিও। এরপর দুই পরিবারের মাঝে ধারণা ছিলো ভালবেসে বিয়ে করার উদ্দ্যেশেই হয়তো তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তখনও কেউ ভাবেনি তারা দুজন কাপ্তাই হৃদে ঝাপ দিয়ে নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে পরিবারের সম্মান ও ভালবাসা দুটোকেই বাঁচিয়ে দেবে।
নিখোঁজের দুদিন পর আজ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের বরগাং এলাকায় হৃদ থেকে যুগলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে দুজনের লাশ উদ্ধারের পর হিমেলের টাইমলাইনের শেষ স্ট্যাটাস পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে শোকাহতের ধ্বনি। ভালোবাসার এমন করুণ সলিল সমাধীতে বিস্মিত অনেকেই। আবার আত্মহত্যার মতো জগন্যতম পথ বেঁচে নিয়ে কাজটা ভাল করেননি বলেও মন্তব্য অনেকের।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।