ধিক্কার না দিয়ে এতিম সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচতে দিন বললেন সাধনা>> SSTV Bangla
গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে শুধু একটা আলোচনা চলছে। নারী অফিস সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার সঙ্গে জামালপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
ইতিমধ্যে এ ঘটনায় আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. এনামুল হক। রবিবার (২৫ আগস্ট) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এ ঘটন প্রকাশ্যে আসার পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক গোপন তথ্য। জানা যায়, পিয়ন পদে চাকরি করলেও ডিসি অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন
সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।
তার প্রভাবের মুখে সব সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকতো তটস্থ।আহমেদ কবীর ও সাধনার আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে হঠাৎ করে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে বোরখা এবং হিজাব পরিবর্তন করে হঠাৎ করে হাজির হন তিনি। এ সময় তার হাতে একটি ছুটির দরখাস্ত দেখা যায়। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অফিসে হাজির হলেও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি সাধনা।
এ সময় ১০ বছর বয়সী সন্তানের কথা ভেবে এই আকুতি জানিয়ে ওই নারী বলেন, ‘আপনারা আমার দিকে না তাকিয়ে, আমাকে এভাবে ধিক্কার না দিয়ে আমার এতিম সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বাঁচার ব্যবস্থা করে দিন।’সব দোষ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তিনি এও বলেছেন, এখানে ‘স্যারের’ (পদ হারানো জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির) কোনো দোষ নেই। স্যার নির্দোষ, কারণ স্যার আমার কোনো ক্ষতি করে নাই।
এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তার হাতে ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে; ২৭ আগস্ট থেকে ৩ দিনের ছুটির আবেদনপত্র দেখা যায়।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়। শুক্রবার ভোরের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
যদিও শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ওই আইডিতে ভিডিওটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে সেটি ছড়াতে থাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে।পরদিন ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওটি পর্ন সাইটে আপ হয়ে যায়। বাংলাদেশে এই সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলেও বিকল্প পন্থায় এখনো তা দেখা যায় এবং তার মাধ্যমেই এই ভিডিওটিও ছড়িয়ে পড়ে।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।