গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফঃ
ধেয়ে আসছে ঘুর্নিঝড় 'বুলবুল' উপকুলীয় এলাকায় ৪নং সতর্কতা সংকেত জারি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া,সাগর উত্তাল থাকার কারনে টেকনাফ টু সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রীবাহি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এতে গত ৭ নভেম্বর রাত থেকে প্রবালদ্বীপে আটকা পড়ে যায় দেশী-বিদেশী প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
খবর নিয়ে আরো জানা যায়,দুই দিন অতিবাহিত হয়েছে তারা দ্বীপে আটকা পড়েছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার কারনে তারা নিজ গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেনা। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভাল না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে দ্বীপে থাকতে হবে। অতিরিক্ত খরচ করার মত পকেটে কোন টাকা না থাকায় বেশীর ভাগ পর্যটকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। আবার ঘুর্নিঝড় 'বুলবুল' কখন দ্বীপে ছোবল মারবে সেই ভয় আর আতংকে প্রহর গুনছে অনেক পর্যটক। কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার বিকালেই ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করে। এরপর শুক্রবার সকালে তা বাড়িয়ে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। তার কারণে সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রবালদ্বীপে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আটকা পড়া পর্যটকরা যেন সুলভ মূল্যে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। সেই দিকটা লক্ষ্য রাখার জন্য হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে। গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আড়াই হাজারের পযর্টক সেন্টমার্টিন বেড়াতে যায়। সেখান থেকে প্রায় দেড় হাজারের মতো পর্যটক রাতে দ্বীপে অবস্থান করার জন্য থেকে যায়।
এর আগেও প্রায় ২শত পর্যটক আগে থেকে সেখানে অবস্থান করে আসছিল।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজমীর ইলাহি বলেন,পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। যাতে তারা কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ জানান,দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা যেন কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়। সেই দিকটা বিবেচনা করে শনিবার সকালে দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
আটকা পড়া পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট দিতে হোটেল,মোটেল ও রেস্তোরা মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার নির্দেশ দেন। পাশপাশি বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে কোন পর্যটক যেন সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে না নামে, সে দিকেও কড়া নজরদারী রাখার জন্য বীচ কর্মিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে হালকা বৃষ্টি এবং থেমে থেমে দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে বলে জানায় দ্বীপের বাসিন্দারা।