নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আজ মঙ্গলবার বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিনের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী। একাত্তরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহিনী যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এক শহর দখল করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করছে, সেই মুহূর্তে খুলনার রূপসা নদীতে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধজাহাজ কে বি এন এম পলাশের চিফ ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার অফিসার হিসেবে রুহুল আমিন কর্মরত ছিলেন।
১০ ডিসেম্বর এ যুদ্ধজাহাজে পাক হানাদার বাহিনী বিমান হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় রুহুল আমিন জাহাজ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটে রূপসা নদীর পাড়ে উঠেন। এ সময় নদীর পাড়ে ওত পেতে থাকা পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে রাখে।
বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ তার নিজ গ্রাম নান্দিয়া পাড়া শহিদ রুহুল আমিন নগরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন এতিমখানায় মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।