তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর ডায়াবেটিস প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিল। হাঁপানির প্রকোপ ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল কম। তবে তার শরীরে করোনা সংক্রমণ ছিল কিনা নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা।
করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোমেনা বেগম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৮০ শতাংশ।
তিনি জানান, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়। ভর্তি হওয়ার ৭ মিনিটের মাথায় ওই রোগী মারা যান।
ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, গর্জনিয়া থেকে আসার আগে ওই রোগী একজন স্বাস্থ্য সহকারির কাছে চিকিৎসা নেন। ওই স্বাস্থ্য সহকারি চিকিৎসা দিয়ে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য সহকারির কাছে চিকিৎসা নেয়ার আগে ওই রোগী আরেকজন গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, প্রচন্ড ডায়াবেটিস ও হাঁপানি নিয়ে ওই রোগী হাসপাতালে আসেন। পরে হাসপাতালের আইসোলেশনের ভর্তি হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই মারা যান।
তিনি জানান, ওই রোগীর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামিকাল পরীক্ষার পর করোনা আক্রান্ত কিনা জানা যাবে।