হাসির বেলায় কান্না উখিয়ার কৃষকদের
উখিয়ায় প্রত্যেক বছর কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও এই বছর নেই সেই হাসি।পাকা ধানে ধরছে মড়ক পোকা।একদম কাটার পূর্ব মূহুর্তে। বেশ ভালই ফলন হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এমন কেন হল। কৃষকের মুখে হাসিটাই কেড়ে নিলো ধান চাষ দেখতে গিয়ে।কপালে হাত দিয়ে বাড়ি ফিরছে কৃষকেরা।
ধান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া দূরের কথা ধান কাটার টাকা পাবে কিনা সন্দেহ কৃষক আব্দুর রশিদের।
যে ধানে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ পড়েছে সেখানে মনে হয় ১০ হাজার টাকাও পাবে না মনে করছেন তিনি। আর জীবনেও ২৮ নং ধান চাষ করবে না বলে জানিয়েছে চাষিরা।
রাজাপালং ইউনিয়নের কৃষক মোঃ হোসেন জানিয়েছেন, খয়রাতিসহ ১৩ পাড়ায় পাকা ধানে মড়ক লেগে প্রায় ৩ হেক্টর জমির ৩০ জন চাষা ১ মুষ্টি ধানও পাবে না।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর ৫ ইউনিয়নকে ১৫ ব্লকে ভাগ করে।যাতে বর্তমানে রয়েছে ৮ জন উপসহকারী। একশ্রেণীর অতি লোভী কৃষক দাপ্তরিক নির্দেশনা ও পরামর্শকে অগ্রাহ্য করে একসময় বেশী ফলন হত ২৮ নং ধান যা বর্তমান পরিবেশ বান্ধব নয় তা রোপণ করেছে। ফলে নেক ব্লাষ্ট রোগের প্রকোপে পাকা ধানে মড়ক লেগেছে, এমনটি দাবী কৃষি অফিসের।
উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা মোসতাক আহমদ জানান, বতর্মানে ৫৫,৫৮,৬২,৬৩,৬৭ বিড়ি ধান পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় নিরাপদ ফলন হচ্ছে।
রত্নাপালং ইউনিয়নের ৩ ব্লকে বর্তমানে ৮৫০ হেক্টর চাষাবাদ হয়েছে।তৎমধ্যে ৩/৪ হেক্টরের কাছাকাছি মড়ক লেগেছে, যা দুঃখজনক।