২১৮ টাকা থেকে এক লাফে ২৬৯৮ টাকা একমাসের ব্যবধানে।করোনা মহামারিতে যখন গোটা দেশ অবরুদ্ধ, মানুষ যখন দুবেলা অন্ন জোগাড় করার জন্য চোখের জলে ভাসমান ঠিক তখনই উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকাশ্য ডাকাতি।
বালুখালী কাষ্টম এলাকার দরিদ্র নুরুল কবির অঝোর ধারায় কাঁদছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে, কিন্তু কি আশ্চর্য কেউ শুনেনা তার কথা, পাত্তাই দেয়না।
নুরুল কবির বলেন, ডিজিএম অফিসে অনেক চেষ্টার পরও ডুকতে দিলনা, এজিএম বলে এটা আমার কাজ নয়, ইন্সপেক্টর বলে এটা অন্যজনের কাজ পথ ছাড়েন এভাবে আরও কয়েকজনের কাছে গেলাম কিন্তু কোন কাজই হলনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মোঃ শফিউল আলম নামের একজন লিখেছেন,
মনের যেমন ইচ্ছে তেমন বিল তুললো,,, ৫৮ টাকা ভ্যাটের জায়গায় লিখে দিছে ১২৭৪ টাকা।। সচারাচর বাসায় বিদ্যুৎ খরচ হয় ৩৫-৪০ ইউনিট।।তার মানে হলো (২০০-২৫০) টাকা।। হঠাৎ কি হইলো ১৯০ ইউনিট তুলে বসলো?? বিষয়টি নিয়ে কেউ অবগত থাকলে জানাবেন, প্লিজ।।
শাকুর মাহমুদ বলেন, উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম সাহেব, এই দুর্যোগের মহাসংকটময় সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব কিছুতে আন্তরিক হওয়ার জন্যে ভিডিও কনফারেন্স বার্তায় বারে বারে বলেছেন, সে কথা গুলো কি আপনার মনে আছে?
আজ এই মহামারি করোনার সময় গুলোকে পুঁজি করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইবাদতের সবচেয়ে বড় ঠিকানা আল্লাহর ঘর মসজিদের বিদ্যুৎ বিলসহ বাড়ি-ঘরের বিল গুলোতে অতিরিক্ত রেডিং মূল্য বসানো হয়েছে। এর জবাব চাই গ্রাহকেরা।
এটি শুধু নুরুল কবির, শফিউল, শাকুর মাহমুদের অভিযোগ নয় হাজারো নুরুল কবির নিরবে চোখের জল ফেলছে বিদ্যুৎ অফিসের নির্যাতনে।
এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।
ভোক্তভোগীরা বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীল এই সব দুর্নীতিবাজ হারামিদের শাস্তিমূলক বহিষ্কার চাই। যদি তা না হয় তাহলে আমাদের মত শত শত সব ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের দায়িত্ব নেবে কে???
সূত্র: উখিয়া নিউজ