নদী দখলদার ও অসংস্কারের কারণে নাইক্ষ্যংছড়িতে পানি বন্দী ৩০০ পরিবার।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস এর সাথে যোগ হল প্রাকৃতিক দূর্যোগ। গতকাল সকাল থেকে অনবরত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টি শুরুর ৬ ঘন্টা পর হঠাৎ নাইক্ষ্যংছড়ির বাজার,উপজেলা প্রাঙ্গণ ও মারমা পড়াসহ আশেপাশের এলাকায় মানুষের কল্পনার বাহিরে পানি তড়িৎ গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা সময় গড়ানোর সাথে সাথে আরো বৃদ্ধি পায়, নাইক্ষ্যংছড়ি নদী দখলদার ও অসংস্কারের কারণে ২ ঘন্টা ব্যবধানে পুরো এলাকা সমুদ্রে পরিণত হয়। এলাকার অধিকাংশ জায়গা উচু যেখানে অাগে কোনোদিন প্লাবিত হয়নি। সত্যতা অনুসন্ধানে জানা যায় নাইক্ষ্যংছড়ির মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র নদীটি সংস্কারের করা হয়নি।
অন্যদিকে নদীটিতে দখলদার বৃদ্ধি পেয়েছে। অসংস্কারের ও দখলের কারণে দিন দিন নদীটি ছোট ও গভীরতা কমে গেছে তাই সামান্য বৃষ্টিতেও প্লাবিত হচ্ছে এই সব এলাকা। সামনে বড় ধরনের প্লাবনে আশঙ্কা রয়েছে।সরকারি অফিস ও দরিদ্র সীমানা নিচে, বসবাস রত সাধারণ জনতা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন।
আওয়ামীলীগ পরিবারের একনেতা বলেন, সদর ইউনিয়নে রয়ে যাওয়া নদীটি হচ্ছে সরাসরি বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত বাঁকখালী নদীর অঙ্গ নদী। ছোট ও গভীরতা কম, আবারও দখলদার ও সংস্কারের অভাবে এই নদী বর্ষার সময় অল্প বৃষ্টিতেও পানিতে ভরে যায়। যার ফলে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারসহ অধিকাংশ এলাকা বন্যায় হঠাৎ প্লাবিত হয় । এতে কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি বাসীর অভিভাবক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের নিকট নাইক্ষ্যংছড়ির অসহায় মানুষের নিরাপত্তা ও দ্রুত সেবার জন্য নাইক্ষ্যংছড়িতে নৌকার ব্যবস্থা এবং নদীটি দখলদার মুক্ত ও সংস্কার দাবি জানায়।
সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি ও পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নিজে অর্থায়নে হঠাৎ বন্যায় পানি বন্দী হওয়া পরিবার গুলো ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে নিরাপত্তার নিশ্চিত ও তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। নাইক্ষ্যংছড়ির নদী দখলদারের হাত থেকে মুক্ত করবো। আর নদীর সংস্কার বিষয়টি পার্বত্য মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবো।
তিনি আরো বললেন আমি,যেকোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগের নাইক্ষ্যংছড়ির মানুষের পাশে ছিলাম,এই প্রাবণেও সেবা অব্যাহত থাকবে।
নদী পাড়ে বসবাসকারী একজন জানান নাইক্ষ্যংছড়িতে এক প্রভাবশালী মহলের হাতে নদীটি দখল হচ্ছে। বছর বছর তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ব্যবহার উপযোগী পানি এবং বার্ষায় পানি বন্দী হওয়ায় সম্ভাবনা থেকে মুক্তির জন্য নদীটি সংস্কার ও দখলদার মুক্ত করা নাইক্ষ্যংছড়িসীর প্রাণের দাবি।