বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের হিমছড়ি পর্যটন পার্ক সংলগ্ন হিমছড়ি বাজারে উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ পার্কিং বসিয়ে টোল আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ভূমি অফিসের তহসিলদার নূরুল আবছারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই বাজারে অবৈধ দোকান নির্মাণেরও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি চক্র এসব দোকান নির্মাণ করেছে বলে জানা গেছে। একই সাথে হিমছড়ি পার্কের এলাকায় গড়ে উঠেছে আরো বেশ কিছু অবৈধ ঝুপড়ি দোকান। চলতি মাসের শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ। কিন্তু পরে আবার তৈরি করা হচ্ছে।
হিমছড়ি পার্কের ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, হিমছড়ি পার্ক নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলার আদেশে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জায়গা হওয়ায় উচ্চ আদালতে নির্দেশে হিমছড়ি বাজার ইজারা বা ডিসিআর প্রদান বন্ধ রয়েছে। বনবিভাগের এক রীটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে হিমছড়ি বাজারে পার্কিং বসিয়ে অবৈধ টোল আদায় করছে স্থানীয় সাব-ভূমি অফিস।
এই রীটের শুনানীতে গত ১৪ অক্টোবর টোল আদায় না করতে ভূমি অফিসকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই সংক্রান্ত আদেশের কপি গ্রহণ করেছেন তহসিলদার নূরুল আবছার। তবে তিনি কপি পাননি দাবি করে টোল আদায় অব্যাহত রেখেছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবারও গাড়ি পার্কিং বসিয়ে টোল আদায় করেছে।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে খাস খালেকশনের নামে স্থানীয় তহসিলদার অফিস টোল নিয়ে গাড়ি পার্কিং করছে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক গাড়ি সেখানে পার্কিং করছে। প্রতি গাড়ি থেকে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অভিযোগ আছে, প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্য কামাল উদ্দীন হিমছড়ি বাজার কেন্দ্রিক অবৈধ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। তিনি তহসিলদার অফিসের আবছারের সাথে যোগসাজস করে গাড়ি পার্কিং বাণিজ্যে জড়িত রয়েছেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সরওয়ার আলম জানিয়েছেন, বনবিভাগের জায়গা থেকে কোনো বিভাগ টোল নিতে পারবে না। পার্কিং খুলে দেয়া হলে ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠানই টোল আদায় করবে।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।