নিউজ ডেস্ক ::
উখিয়ায় মরিচ্যা বাজারে আদালতের আদেশ অমান্য করে দোকান নির্মাণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সার ডিলার নুরুল ইসলাম ও তার বাহিনী রাতের আধারে সুকৌশলে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জায়গার মালিক জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করেছেন ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ অক্টোবর গভীর রাতে।
জানা গেছে উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পাগলির বিল গ্রামের সৈয়দুর রহমানের পুত্র জয়নাল আবেদীন আশরাফ আলী ও ফিরোজ গং থেকে ৬ . ৬৬ শতক জায়গা ক্রয় করে । তৎ মধ্যে ২ শতক জায়গায় দোকান দখল আমলে থাকলেও অবশিষ্ট জায়গা তিনি এখনও বুঝে পাননি।
অভিযোগে প্রকাশ মৃত আবদুল মজিদের পুত্র সার ডিলার নুরুল ইসলাম ও তার বাহিনী দিয়ে জয়নাল আবেদীনের ক্রয় কৃত ৪ . ৬৬ একর জায়গা জবরদখল করে রাখে ।
এই নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠক হলেও সার ডিলার নূরল ইসলাম কারো কথা শুনেনা।
এদিকে এ ঘটনায় আইনের প্রতিকার চেয়ে গত ২২/৩/২০২১ ইং তারিখ কক্সবাজার অতিরিক্ত জলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নম্বর এমআর ৮৩৫/২০২১। এতে বিবাদী করা হয় নুরুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে মিজান ও শাহাদাত কে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে এনে বিরোধীয় জায়গায় স্থিতিশীল অবস্থায় বজায় রাখাসহ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে আদেশ প্রদান করেন । যার স্মারক নম্বর ৯৬২/২০২১।
অভিযোগে প্রকাশ বিবাদী নুরুল ইসলাম গং তার বাহিনী দিয়ে আদালত বিচারাধীন জায়গায় জোর পূর্বক ভাবে দোকান নির্মান কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ব্যয়পারে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন বলে জানা গেছে ।
জয়নাল আবেদীন জানান , রাতে আধারে দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করছি মর্মে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে ফাঁসনো জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন সুচতুর নুরুল ইসলাম । শুধু তাই নই বিসিআইসি সার ডিলার কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বার বার সারে গুদাম নির্মানের জন্য জায়গায় জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ওই জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা রয়েছে । বলতে গেলে তিনি আইনকেও অমান্য করে করছে ।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগে জানা গেছে, মাদারীপুর থেকে মরিচ্যা বাজারে এসে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করলেও নুরুল ইসলাম রাতারাতি বিপুল টাকার মালিক হয়েছে। মরিচ্যা এলাকায় ৩/৪ টি জায়গায় ক্রয় করেছে। ওই জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মান করছে নুরুল ইসলাম । তার ট্রাক গাড়িও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকই জানিয়েছেন তিনি ছদ্মবেশে ইয়াবা কারবারে জড়িত। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খতিয়ে দেখলে আসল ঘটনা উদঘাটন হবে ।
Dainik Coxsbazar
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।