নিউজ ডেস্ক ::
কুতুবদিয়ায় আরও দুইটি ঘাটে নির্মাণ হচ্ছে জেটি
কুতুবদিয়ায় আরও দু‘টি জেটি নির্মান হচ্ছে। উপজেলার লেমশীখালী পেয়ারাকাটা ঘাট ও উত্তর ধুরুং আকবরবলী ঘাটে নির্মাণ হবে এ দু‘টি জেটি। জেটি নির্মাণে ইতিমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তর টেন্ডার আহবান করেছে। স্থানীয় এলজিইডি সূত্র জানায়, উপজেলার সর্বদক্ষিণে আলী আকবর ডেইল ঘাট, বড়ঘোপ স্টীমার ঘাট, দরবার ঘাট ও সতরুদ্দিন ঘাটে জেটি নির্মাণ হয়েছে। দু‘টি জেটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
উত্তর ধুরুং আকবরবলী ঘাটে ২০০৫ সালে জেটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল। আর্থিক বরাদ্ধ স্বল্পতায় এটি পরিত্যক্ত হয়ে আছে দেড় দশক ধরে। যাতায়াত আর যোগাযোগ সুবিধা অনক’লে না থাকায় সতরুদ্দিন জেটি ক্রমেই ঝিমিয়ে পড়ে। ফলে উত্তর ধুরুং আকবরবলী ঘাটে ও পেয়ারাকাটা ঘাটে জেটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
লেমশীখালী পেয়ারাকাটা ঘাট ও আকবরবলী ঘাট ইজারা হয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। দ্বীপের উৎপাদিত লবনের অধিকাংশই নৌপথে পরিবহণ হয় । লবন ওঠা-নামা বেশি হয় পেয়ারাকাটা ঘাটে। পেয়ারাকাটা ঘাটের লবন শ্রমিক সর্দার মো: জাহাঙ্গীর বলেন, লবন ওঠা-নামায় ৫টি বাশের জেটি নির্মাণ করা হয়েছে ইজারাদারের পক্ষ থেকে। আবু মুছা, আবু ওমর, ফোর স্টার, মহিউদ্দিন, পিটার আক্তার কোম্পানী বাশের জেটি নির্মান করেছেন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার মণ লবন পরিবহন হয় এ ঘাটে। তিনি আরো বলেন, অন্তত ৬০ জন শ্রমিক কাজ করেন জেটিতে। প্রায় ৫০ কেজির লবনের বস্তা মাথায় করে ট্রলারে তোলা হয়।
প্রতিবস্তায় ৫ টাকা পায় শ্রকিরা। জেটি নির্মাণের খবর শুনে তারা খুশি হয়ে বলেন, শুবিধা বাড়বে তবে তাদের মজুরি বাড়াননা লবন ব্যবসায়িরা। লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোছাইন বলেন, পরিষদের অধিনে পেয়ারাকাটা ঘাট কয়েকজন লবন ব্যবসায়িদের ইজারা দেয়া হয়েছিল লবন পরিবহণের সুবিধার্থে।
এ ঘাটে জেটি নির্মাণে টেন্ডার হওয়ায় আগামী সনে ইজারা দেয়া হবেনা। জেটি হলে লবন পরিবহণ খরচ কম সহ আর্থিক সাশ্রয় সহ নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
স্থানীয় এলজিইডি‘র উপসহকারি প্রকৌশলী জামাল খান জানান, লেমশীখালী পেয়ারাকাটা ও আকবরবলী ঘাটে জেটি নির্মাণে জেলা নির্বাহি প্রকৌশল বিভাগ থেকে দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। গত ২৮ সেপ্টেম্বর অন্তত ৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র ড্রপ হয়েছে। এগুলো সরাসরি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরন করেছে নির্বাহি প্রকৌশল অধিদপ্তর।
Dainik Coxsbazar
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।