সুমাইয়া আক্তার শিখা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার হীন মানসিকতায় সরকারি ও বিরোধপূর্ণ জায়গায় মাদ্রাসা নির্মাণের মাধ্যমে স্থাপনা গড়ে তোলা আইনত অপরাধ।
“এ ধরনের অবধৈ স্থাপনা অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হলে, ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে কিছু কুচক্রি মহল। তাই দেশের আলেম-ওলামাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনো মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে ফ্যাসাদ ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদ মাদ্রাসার জায়গা ওয়াকফ এস্টেটের অধীনে থাকা সরকারি নিয়ম।”
আর এই সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কচ্ছিপিয়া গ্রামে (দক্ষিণ হালিম বাজার) সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে ও বাঁধের পাশের সরকারি গাছ কেটে মাদ্রাসা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় সরকারি বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন রোধ করার লক্ষ্যে সামাজিক বন বিভাগ ও স্থানীয় জনগণের গড়ে তোলা বনায়ন রয়েছে, আর সেই বনায়ন অবৈধভাবে কেটে গড়ে তুলছে মদিনাতুল উলূম নূরানী তা'লিমূল কোরআন নামে একটি মাদ্রাসা । যে গাছ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ রক্ষা করে থাকে, একদল স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি গাছ কেটে মাদ্রাসা নির্মাণ করে জায়গা দখলে মেতে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকায় পাউবো নির্মিত বেড়ি বাঁধের দুই পাশে বনবিভাগের সরকারি গাছ লাগানো ছিলো, ওই সরকারি গাছ গুলো রাতের আঁধারে কেটে ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে এর ওপরে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এই বেড়ি বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
দক্ষিণ কচ্ছপিয়া গ্রামে শত বছরের পুরনো সরকারি কাঁচা বেড়ি বাঁধ দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত মেঠোপথটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
অবিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি বেড়িবাঁধটি উন্মুক্ত করতে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা বনকর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
0 coment rios:
ধন্যবাদ আপনার সচেতন মন্তব্যের জন্য।